ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৬/০৫/২০২৪ ৭:৪৩ পিএম

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের জেরে সোমবার (৬ মে) দিনভর কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদের ওপারে বিমান ও হেলিকপ্টারের চক্করের দেখা মিলেছে। একই সঙ্গে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্তজুড়ে। নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের কয়েকটি গ্রামে কালো ধোঁয়ারও দেখা মিলেছে।

সোমবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা) এ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান।

তিনি জানান, টানা কিছু দিন ধরে বিস্ফোরণের কোনো শব্দ শোনা না গেলেও সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি বদলে গেছে। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার নাফ নদের সোজা পূর্বে মিয়ানমারের ভেতর থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। ওই এলাকায় দিনভর বিমান ও হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, ‘ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে মংডু শহরের উত্তর পাশে কাওয়ার বিল চৌকি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর থেকে আশিকাপাড়া, আরশিয়াপাড়া ও বসুয়ার এলাকায় বিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে হামলা চালাচ্ছে জান্তারা। এতে টেকনাফের চৌধুরীপাড়া এলাকায় ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে এবং বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে।’

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। বেশ কিছু দিন গোলার শব্দ শোনা না গেলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকট গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, বোমা এসে এপারে পড়ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।’

সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের পৌরভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘রাখাইনে চলমান যুদ্ধে এপারে অনেক ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।’

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। নাফ নদের সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদ এলাকা এবং সীমান্ত সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বাড়িয়েছে। তবে এ ব্যাপারে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রাখাইন রাজ্যের উত্তর মংডু টাউনশিপে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) একটি সদর দপ্তর আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সৈন্যরা শহরে ঢুকে পড়েছে। সদর দপ্তর পতনের সময় অন্তত ৫০ জান্তা সৈন্য আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কিছু জান্তা সৈন্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শনি ও রবিবার পৃথকভাবে এসব সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা অন্তত ১২৪ জন। সুত্র: প্রবা

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের রয়েছে, এটা সংবিধানে গ্যারান্টি ...

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...